চারবেদের ভাষ্যকার:- চারটি বেদেরই বহু ভাষ্যকার বা অর্থ ও প্রয়োগের ব্যাখ্যাতা প্রাচীনকালে ছিলেন বলে অনুমান করা যায়, যদিও বর্তমানকালে তাঁদের বেশিরভাগই ভাষ্য লোপ পেয়েছে।
Table of Contents
চারবেদের ভাষ্যকার
ঋগ্বেদের ভাষ্যকার:-
এখন ঋকসংহিতার উপর প্রায় ১৫টি ভাষ্য পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ ভাষ্যই ঋগ্বেদের অংশবিশেষের উপর লেখা হয়েছে। স্কন্দস্বামী ও সায়ণ – শুধুমাত্র এই দুজনেই সম্পূর্ণ ঋকসংহিতার উপর ভাষ্য লিখেছেন। ঋকবেদের ভাষ্যকারেরা হলেন-
১) স্কন্দস্বামী, ২) নারায়ন, ৩) উদগীথ, ৪) হস্তামলক, ৫) বেঙ্কটমাধব, ৬) লক্ষণ, ৭) ধানুঙ্কাযজ্বা, (এর কোনো ভাষ্য পাওয়া যায় না) ৮) আনন্দতীর্থ, ৯) আত্মানন্দ, ১০) সায়ণ, ১১) রাবণ, ১২) মুদগল, ১৩) চতুর্বেদস্বামী, ১৪) দেবস্বামী এবং ১৫) দয়ানন্দ সরস্বতী।
সামবেদের ভাষ্যকার :-
সামবেদের কৌথুম শাখার চারজন ভাষ্যকারের কথা জানা যায়- ১) মাধব, ২) ভরতস্বামী, ৩) সায়ন এবং ৪) দৈবজ্ঞসূর্যপন্ডিত।
কৃষ্ণযজুর্বেদের ভাষ্যকার:-
কৃষ্ণযজুর্বেদ বা তৈত্তরীয় সংহিতার আটজন ভাষ্যকারের নাম জানা যায়- ১) ভবস্বামী, ২) গুহদেব, ৩) ভট্রভাস্কর, ৪) ক্ষুর, ৫) সায়ণ, ৬) বেঙ্কটেশ, ৭) বালকৃষ্ণ, ৮) শত্রুঘ্ন।
শুক্লযজুর্বেদের ভাষ্যকার:-
শুক্লযজুর্বেদের বা বাজসনেয় সংহিতার মাধ্যমিক শাখা ও কান্বশাখার অন্ততঃ দশজন ভাষ্যকারের নাম জানা গেছে – ১) সায়ন, ২) শৌনক, ৩) উবট, ৪)গৌরধর, ৫) রাবণ, ৬) মহীধর, ৭) স্বামীদয়ানন্দ, ৮) আনন্দবোধ, ৯) হলায়ুধ, ১০ ) অনন্তাচার্য।
অথর্ববেদের ভাষ্যকার:-
অথর্ববেদের ভাষ্য রচনা করেছেন একমাত্র সায়ন।