রামায়ণ সম্পর্কে প্রাথমিক আলোচনা । রামায়ণ সম্পর্কে বিভিন্ন উক্তি । রামায়ণ রচনার পূর্ব কথা । রামায়ণের বিভিন্ন নাম ।
Table of Contents
রামায়ণ সম্পর্কে প্রাথমিক আলোচনা-সম্পূর্ণ রামায়ণ
- ■ বর্তমানে প্রচলিত রামায়ণে ৭টি কাণ্ডে ৫০০টি অধ্যায় আছে।
- ■ বর্তমানে প্রচলিত রামায়ণে ২৪,০০০ শ্লোক রয়েছে।
- ■ রামায়ণ মহাকাব্য শ্রেণির রচনা। এটি Authentic Epic বা Epic of growth
- ■ রামায়ণ মহাকাব্য প্রধানত অনুষ্টুপ্ ছন্দে লেখা।
- ■ রামায়ণের আদিকাণ্ড বা বালকাণ্ড এবং উত্তরকাণ্ডকে প্রক্ষিপ্ত বলে মনে করা হয়।
- ■ রামায়ণ ও মহাভারতের মধ্যে রামায়ণকেই পূর্ববর্তী বলে মনে হয়।
- ■ রামায়ণ বৈদভীরীতিতে রচিত।
- ■ রামায়ণে করুণরসের প্রাধান্য রয়েছে।
- ■ রামায়ণের প্রাচীনতম টীকা ‘রামায়ণকতক’।
- ■ পাঠভেদানুসারে রামায়ণের পৃথিগুলিকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা
- ১. গৌড়ীয় বা বঙ্গীয় পাঠ।
- ২. দক্ষিণী পাঠ বা দক্ষিণ ভারতীয় পাঠ।
- ৩. পশ্চিমোত্তরীয়
রামায়ণ সম্পর্কে বিভিন্ন উক্তি
ভারতবর্ষের পুরাণ বলছে-
নাস্তি রামায়ণাৎ পরম্।
গঙ্গার মতাে তীর নেই, মায়ের মতাে গুরু নেই,
আর রামায়ণের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কিছ নেই।
রামায়ণ যেন ভারতবাসীর হৃদয়। রামায়ণ সম্পর্কে কবি ভবভূতির উক্তি
“মঙ্গল্যা মনােহরা চ জগতে মাতেব গঙ্গোব চ।”
আদিকবি বাল্মীকি রচিত রামায়ণ ভারতবর্যের আদি মহাকাব্য এবং ভারতীয়দের পরম শ্রদ্ধার বস্তু। রামায়ণ সম্পর্কে ভবভূতির উক্তি যথার্থ-
“ভগবতা বাল্মীকেঃ সরস্বতীনিস্যন্দঃ”
অর্থাৎ ভগবান বাল্মীকির শব্দচৈতন্যের প্রকাশমূর্তি এই রামায়ণ।রামায়ণ যথার্থই রামকথার অমৃতপ্রবাহে ভারতীয় জীবনকে যুগ যুগ ধরে অভিষিক্ত করে সঞ্জীবিত করে রেখেছে ; সেই সঙ্গে সরস ও পবিত্রও করেছে।রামায়ণ ব্যক্তিবিশেষের রচনা হলেও এর অন্তরালে অনেক অজানা কবি আত্মগােপন করে আছেন।
রামকথার কাহিনি ভ্রাম্যমান গায়ক ও কথকশ্রেণির মুখে মুখে একসময়ে ভারতবর্ষে গীত হত এবং তার ফলে রামায়ণের পরিচিতি ব্যাপকভাবে দেশের সর্বত্র বিস্তৃত হয়েছিল।অধ্যাত্মরামায়ণে বাল্মীকি নিজের অতীত জীবনের ইতিহাস নিজেই বলেছেন।
রামায়ণ রচনার পূর্ব কথা
তমসা নদীতীর। সশিষ্য বাল্মীকি এসেছেন স্নানের জন্য। সহসা সেইসময় ক্রৌঞ্চমিথুনের একটি আর্তনাদ করে ওঠে। ঋষি সামনে দেখতে পান এক ব্যাধের শরাঘাতে ক্রৌঞ্চ মরে পড়ে আছে আর ক্রৌঞ্চী করুণ বিলাপ করছে। ঋষিহৃদয় শোকে বিগলিত হয় এবং ব্যাধের উদ্দেশ্যে নির্গলিত হয় অভিশাপবাণী
ক্রৌমিথুনের একটি ব্যাধের শরাঘাতে নিহত হলে ক্রৌঞ্চ বিরহে বেদনার্ত ক্রৌঞ্জীর মর্মদ করুণ ক্রন্দনে বাল্মীকির চিত্তে যে করুণাঘন ভাবের উদয় হল, তার ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর প্রথম ছন্দোবদ্ধ শ্লোকটি বাল্মীকির কণ্ঠ থেকে নির্গত হল :
মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগমঃ শাশ্বতী সমাঃ ।
যৎ ক্রৌঞ্চমিথুনাদেকমবধীঃ কামমােহিতম।
একথা বলার পর ঋষি সম্বিৎ ফিরে পেলেন ; ভাবলেন এ তিনি কী বললেন? শিষ্যকে ডেকে বললেন –
“পাদবদ্ধোঅক্ষরসমস্তন্ত্রীলয়সমন্বিতঃ।
শোকার্তস্য প্রবৃত্তো মে শ্লোকো ভবতু নান্যথা।।”
শােক থেকে উদ্ভূত বলে এর নাম হয় শ্লোক। পরে সেখানে উপস্থিত হলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা। বাল্মীকি তারই আদেশে এবং নারদের উপদেশে নারদোক্ত ‘রামকথা অবলম্বন করে অনুষ্টুপ ছন্দে ৭ কাণ্ড, ৫০০ অধ্যায় ও ২৪ হাজার শ্লোকে করুণরসাশ্রিত রামায়ণ রচনা করেন এবং তার অনেকগুলি নামকরণ করেন রামায়ণ, সীতাচরিত, পৌলস্ত্যবধ।
রামায়ণের বিভিন্ন নাম
■ আর্য রামায়ণানুসারে রচিত কয়েকটি রামায়ণ
- ১. অদ্ভুতরামায়ণ
- ২. যোগবাশিষ্ঠরামায়ণ
- ৩. অধ্যাত্মরামায়ণ
- ৪. আনন্দরামায়ণ
- ৫. তত্ত্বসংগ্রহরামায়ণ
- ৬. ভূশণ্ডীরামায়ণ
- ৭. মন্ত্ররামায়ণ।
■ জৈন রামায়ণ নামে প্রসিদ্ধ গ্রন্থটির নাম ত্রিষষ্ঠিশলাকাপুরুষ। এটি প্রাকৃতভাষায় হেমচন্দ্ৰ রচনা করেন।
■ পালিভাষায় রচিত বৌদ্ধদের প্রাচীনগ্রন্থ সূত্তপিটক-এর ‘ক্ষুদ্রকনিকায়’ অংশে এবং পালিজাতকের ‘জাতকস্থকল্পনা’ অংশে রামায়ণের কাহিনি বর্ণিত আছে।
রামায়ণকে কেউ কেউ রামায়ণ সংহিতা বা চতুর্বিংশসাহশী সংহিতা নামেও অভিহিত করে থাকেন। চতুর্বিংশসাহত্রী সংহিতা’ বলার কারণ সম্ভবত রামায়ণের শ্লোকসংখ্যা চব্বিশ হাজার। মহাকবি কালিদাস ‘রঘুবংশ মহাকাব্যে রামায়ণকে কবি-প্রথম-পদ্ধতি বলে উল্লেখ করেছেন। মহাভারতের শান্তিপর্বে ভার্গবগীত নামে রামােপাখ্যান বিবৃত আছে। অনেকগুলি নাম থাকলেও রামায়ণ’ নামটিই প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ। রামায়ণ কথাটির অর্থ রাম-চরিত।
রামায়ণের বিভিন্ন নাম –রামায়ণ সংহিতা বা চতুর্বিংশসাহশী সংহিতা ,রাম-চরিত
রামায়ণের প্রক্ষিপ্ত অংশ
প্রথম ও সপ্তম কাণ্ডের বর্ণনায় পৌরাণিক রচনার প্রভাব দেখা যায়। অন্য কাণ্ডগুলি (দ্বিতীয়—যষ্ঠ) তুলনায় এই কাণ্ডগুলির রচনাশৈলী ও ভাষা নিম্নমানের।
■ প্রথম কাণ্ডে যে-সব তথ্য আছে, দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ কাণ্ডের সঙ্গে তা মেলে না।
- ১. বাল্মীকির রামচন্দ্র অসীম গুণের আধার একজন মানুষ। কিন্তু, প্রথম ও সপ্তম কাঠে তাঁকে নররূপী নারায়ণ-রূপে দেখানো হয়েছে। তিনি বিষ্ণুর অবতার।
- ২. অরণ্যকাণ্ডে রাম বলেছেন, লক্ষ্মণ অবিবাহিত। কিন্তু, প্রথম কাণ্ডে রামাদি চার ভাইতে একসঙ্গে মিথিলায় বিয়ে হয়।
■ রামায়ণের অযোধ্যাকাণ্ডে তথাগত বুদ্ধের নাম উল্লিখিত আছে। এখানে রামচন্দ্র বুদ্ধে চোর ও নাস্তিক বলে আখ্যাত করেছেন। (এই অংশটুকু প্রক্ষিপ্ত হওয়াও সম্ভব)।
■ রামায়ণের আদিকাণ্ড বা বালকাণ্ড এবং উত্তরকাণ্ডকে প্রক্ষিপ্ত বলে মনে করা হয়।
কিছু যুক্তি—
- ১. এই দুটি কাণ্ডের ভাষা ও রচনাশৈলী নিম্ন মানের ও ভিন্ন মানের।
- ২. প্রথম ও সপ্তম কাণ্ডে রামচন্দ্রকে বিষ্ণুর অবতার বলা হয়েছে। অন্যান্য কাণ্ডগুলিয়ে রামচন্দ্র অসীম গুণের আধার মহামানব।
- ৩. বালিদ্বীপে রামায়ণের যে প্রাচীন পুঁথি পাওয়া গেছে, তাতে আদিকাণ্ড ও উত্তরকার নেই।
পণ্ডিতেরা মনে করেন যে রামায়ণের সপ্তম কাণ্ডটি মূলগ্রন্থে পরবর্তীকালে সংযৌজিত হয়েছিল—এটি সন্দেহাতীত। প্রথম কাণ্ডটি যে মূল রামায়ণের অন্তর্গত ছিল না তাও তাঁরা একপ্রকার সিদ্ধান্তরূপে গ্রহণ করেছিলেন। দ্বিতীয় থেকে যষ্ঠ কাণ্ডের ভাষা এবং রচনাশৈলীর সঙ্গে প্রথম ও সপ্তমকাণ্ডের ভাষা ও রচনাশৈলীর পার্থক্য তাঁদেরকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বাধ্য করেছে। এ ছাড়া প্রথম কাণ্ডে যে সকল বক্তব্য রয়েছে-দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ কাণ্ডের মধ্যে কোথাও তার কোনও ইঙ্গিত বা তার সমর্থনেরও উল্লেখ পাওয়া যায় না। উপরন্তু আদিকাণ্ডের কতগুলি উক্তি পরবর্তী পাঁচটি কাণ্ডের বিরোধী।
দ্বিতীয় থেকে যষ্ঠ কাণ্ড পর্যন্ত অংশকেই মূল রামায়ণ বলা হয়ে থাকে। আদি এবং উত্তরকাণ্ডেই শ্রীরামচন্দ্র বিষ্ণুর অবতার আর অন্য কাণ্ডগুলিতে তিনি একজন আদর্শ মানুষ, এক ‘নরচন্দ্রমা’। পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা অনুমান করেন মূল রামায়ণের যে অংশে এরপ স্বীকৃতি সমর্থন লাভ করেছে বলে মনে হয় তাও মূল রামায়ণের মধ্যে প্রক্ষিপ্ত। মূল রামায়ণের বর্ণনীয় বিষয়সমূহ পরস্পরের সংলগ্ন হয়ে যে অব্যাহত গতিতে চলেছে প্রথম ও সপ্তম কাণ্ডে এই সংলগ্নতা নেই এবং রচনার মাঝে মাঝে পুরাণের রীতিতে আখ্যান এবং উপাখ্যান ইতস্তত সন্নিবেশিত।
রামায়ণের পুঁথিগুলির মধ্যে একটি পুঁথিতে দুটি সূচিপত্র পাওয়া গিয়েছে-একটিতে দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ কাণ্ড পর্যন্ত এবং অপরটিতে প্রথম থেকে সপ্তম কাণ্ড পর্যন্ত দেখানো হয়েছে। মূল রামায়ণ যে একসময় দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ কাণ্ডেই সম্পূর্ণ ছিল—উপরোক্ত প্রমাণগুলির পর এই আবিষ্কার সেই ধারণাকে আরও বদ্ধমূল করতে সহায়তা করেছিল। মনে হয় মূল রামায়ণে রাজপুত্র রামকে দেবতা বলে ঘোষিত করবার সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথম কাণ্ডটি রচিত হয়। পৃথিবীর রাজপুত্র রামচন্দ্র যে বিষ্ণুর অবতার হয়েই এসেছিলেন সেই কথাই প্রতিপন্ন করা ছিল প্রথম কাণ্ডের উদ্দেশ্য।
ভ্রাম্যমান গায়ক এবং কথকশ্রেণির মুখে মুখে সেই সময়ে রামায়ণ গীত হত। শ্রোতৃগণের মনোরঞ্জনের জন্য ওই সময় গায়ক ও কথকগণের যে ধরনের বর্ণনায় শ্রোতৃমণ্ডলী মুগ্ধ হত, সেই ধরনের বর্ণনাকে নিজেদের খুশি মতন অতিরঞ্জিত করে বলে যেতেন–কেননা তখনও রামায়ণের লিখিতরূপ হয়নি।
কিন্তু পূর্বোত্ত মতামত ও সিদ্ধান্তগুলি সর্বাংশে নিঃসন্দেহে গ্রহণযোগ্য নয়। বাল্মীকি রামকে আদর্শ মানবরূপে চিত্রিত করতে চেয়েছিলেন, দেবতারূপে নয়—একথা বিশ্বাস করা কঠিন। বাল ও উত্তরকাণ্ডের সমগ্র অংশই অপ্রাসঙ্গিক বা অবান্তর নয়।
আধুনিক ভারতীয় ঐতিহ্যানুসারী পণ্ডিতদের মতে আদিকাণ্ড রামায়ণের ভিত্তি, তাকে বাদ দিয়ে মূল কথাবস্তুকে নিরালম্ব করা উচিত নয়। আবার যদি উত্তরকাণ্ডটিকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে রামচন্দ্রের মাহাত্ম্য অনেকটাই হ্রাস পায়। তবে ভূমিকা ও পরিশিষ্টে দৃঢ়নিবদ্ধ নয় এমন নানা বিষয়ের সমাবেশ এ দেশের গ্রন্থকারকে করতেই হয়। ধ্বন্যালোকে (৫ম পরিচ্ছেদ) আনন্দবর্ধন এবং কুন্দমালা নাটকে (৬/১৪) নাট্যকার যথাক্রমে সীতাবিয়োগ এবং সীতাপরিত্যাগ পর্যন্ত কাহিনিকেই বাল্মীকির রচনা রূপে স্বীকার করেছেন।
রামায়ণের রচনাকাল
সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাসে মহাকাব্য, নাটক, গদ্য ইত্যাদি রচনাকারের রচনাকাল নির্ণয় এক দুরূহ সমস্যা। এর কারণ সম্ভবত ভারতীয় লেখকদের ঐহিক জগত সম্বন্ধে উদাসীনতা। সংস্কৃত যে-কোনও গ্রন্থেরই রচনাকাল নির্ধারণ করতে হলে অনুমান নির্ভর যুক্তিপরম্পরার উপর নির্ভর করতে হয়। রামায়ণের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। বর্তমানে রামায়ণ যে আকারে পাওয়া যায় তার মধ্যে কিছু অংশ প্রাচীন ও কিছু অংশ নবীন বলে মনে হয়।
রামায়ণের রচনাকাল নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। পণ্ডিত জ্যাকোবি ও ম্যাকডোনেলের মতে বুদ্ধ আবির্ভাবের অনেক আগে ৮০০ থেকে ৫০০খ্রিস্টপূর্বাব্দের
মধ্যে রামায়ণ রচিত হয়েছিল। ভিন্তারনিৎস ও বুলক মনে করেন যে খ্রিস্টপূর্ব তুষ শতকে রামায়ণ রচিত হয়েছিল। পণ্ডিত ওয়েবার জ্যাকোবির মতকেই সমর্থন করেছেন। রামায়ণের রচনাকাল নির্ধারণে নিম্নলিখিত যুক্তিগুলি উল্লেখ করা যেতে পারে।
- (১) অনেকের মতে নিঃসন্দেহে রামায়ণের মূলঅংশ মহাভারতের পূর্বেই রচিত হয়েছিল। রামায়ণের রচয়িতা বাল্মীকির ‘আদিকবি’ আখ্যা দ্বারা এই মত সমর্থিত হয়। রামায়ণ ও মহাভারতের পৌবাপর্য বিচার করলে দেখা যায় মহাভারতের বহুস্থানে রামায়ণের উপাখ্যানগুলি উল্লিখিত হয়েছে কিন্তু রামায়ণের কোনও স্থানেই মহাভারতের উল্লেখ নেই। অতএব মহাভারত রচনার পূর্বেই রামায়ণ রচিত হয়েছিল একথা অনুমিত হয়।
- (২) বৌদ্ধ জাতককাহিনিগুলির দ্বারা এইটি প্রমাণিত হয় যে বৌদ্ধধর্মের আবির্ভাবের পূর্বেই রামায়ণ রচিত হয়েছিল। রামায়ণের যুদ্ধকাণ্ডের একটি শ্লোক পালিজাতকে অবিকল উদ্ধৃত হয়েছে।
- (৩) রামায়ণে যবন শব্দটি দু’বার ব্যবহৃত হয়েছে। যবন শব্দটি উত্তর-পশ্চিম ভারতে একসময় যত বৈদেশিক জাতি আক্রমণ করেছিল তাদের সকলকেই বোঝায়, শুধু গ্রীকদের নয়। অতএব বলা যায় যে, রামায়ণ গ্রীক আক্রমণের পূর্বেই রচিত হয়েছিল।
- (৪) মেগাস্থিনিসের বিবরণ থেকে জানা যায় যে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে পাটলিপুত্র নগরী নির্মিত হয় এবং খ্রিস্টপূর্ব তিনশত পঞাশ (৩৫০ খ্রিঃ পূঃ) শতকে এটি এক বিশাল সাম্রাজ্যের রাজধানীতে পরিণত হয়। কিন্তু রামায়ণে এই প্রসিদ্ধ নগরীর কোনও উল্লেখ নেই। এ থেকে অনুমান করা যায় যে পাটলিপুত্র নগরী প্রতিষ্ঠার পূবেই রামায়ণ রচিত হয়েছিল।
■ রামায়ণের দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ কাণ্ড বাল্মীকির রচনা। অবশ্য কিছু অংশ প্রক্ষিপ্ত। সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের আগেই মূল রামায়ণ রচিত হয়েছিল।
Very good writing
এখানে Teachmint Apps এর সাহায্যে আধুনিক পদ্ধতিতে Online এ সংস্কৃত ব্যাকরণের শব্দরূপ, ধাতুরূপ, সন্ধি, অনুবাদ, কারক, সমাস, প্রত্যয়, অশুদ্ধি সংশোধন, এককথায় প্রকাশ ইত্যাদি Topic এর উপর পৃথক্ পৃথক্ Course করানো হয়। এবং PDF FILE পাওয়া যায়।
আমাদের Telegram Group
https://t.me/joinchat/SK-3xQOYL45lMzM1