শিক্ষা :- ছয় বেদাঙ্গের মধ্যে শিক্ষাকে সর্বপ্রথম স্থান দেওয়া হয়েছে। যে শাস্ত্রে বেদের স্বর, বর্ণ ইত্যাদির যথাযথ উচ্চারণ ও প্রয়োগবিধি সম্পর্কে আলোচনা আছে তাকে শিক্ষা বলে। শিক্ষা ধ্বনিবিজ্ঞানের সমতুল। প্রত্যেক বেদের আলাদা আলাদা শিক্ষা গ্রন্থে আছে। সামবেদের নারদীয় শিক্ষা, কৃষ্ণ যজুর্বেদের ব্যাসশিক্ষা, শুক্লযজুর্বেদের যাজ্ঞবল্ক্য শিক্ষা এবং অথর্ববেদের মান্ডূক্যশিক্ষা। ঋগ্বেদের আলাদা শিক্ষাগ্রন্থ পাওয়া যায় না, পানিণীয় শিক্ষাকেই ঋগ্বেদের শিক্ষাগ্রন্থ হিসাবে ধরা হয়, তবে সব শিক্ষা গ্রন্থ এখন পাওয়া যায় না।
শিক্ষা নামক বেদাঙ্গের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্বন্ধ প্রাতিশাখ্য গ্রন্থগুলির। সংহিতা পাঠের সঙ্গে পদপাঠের সম্পর্ক নির্দেশ করতে প্রাতিশাখ্য গ্রন্থের উদ্ভব হয়। বেদের ১১ রকম পাঠরীতি আছে তার মধ্যে একটি হল পদপাঠ। প্রত্যেক বেদের সঙ্গে যুক্ত প্রাতিশাখ্য সূত্র আছে। ঋগ্বেদের প্রাতিশাখ্য গ্রন্থের নাম শাকল প্রাতিশাখ্য। কৃষ্ণ যজুর্বেদের তৈত্তিরীয় প্রাতিশাখ্য সূত্র, শুক্ল যজুর্বেদের বাজসনেয় প্রাতিশাখ্য সূত্র। সামবেদের বেশ কয়েকটি প্রাতিশাখ্য সূত্র আছে- পুষ্পসূত্র, পঞ্চবিধসূত্র প্রভৃতি। অথর্ববেদের প্রাতিশাখ্য দুটি – অথর্ববেদ প্রাতিশাখ্য ও শৌনকীয় চতুরাধ্যায়িকা সূত্র।